আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপার দরপত্র প্রক্রিয়া করোনার কারণে যথাসময়ে শেষ করা যায়নি। কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থীরা যথাসময়েই হাতে পাবে বই। কারণ পিছিয়ে নেই বিনামূল্যে পাঠ্যবই ছাপার কাজ। বর্তমানে পুরো দমে চলছে পাঠ্যবই ছাপার কাজ। করোনাকালের মধ্যেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সারাদেশের অন্তত ৪শ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা রাতদিন কাজ করছে। এবারও ১ জানুয়ারির আগেই সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটি ছাত্রছাত্রীর জন্য প্রতি বছরের মতো প্রস্তুত থাকবে ৩৬ কোটি বই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, করোনার কারণে এ বছর ছাপার কাঁচামাল দেশে সঠিক সময়ে পৌঁছেনি। আবার মুদ্রণ শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণেও কাজে বিঘœ ঘটেছে। এতোসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ৩৬ কোটি বই তৈরি করা হচ্ছে। এখন এনসিটিবির কর্মকর্তারা প্রেসে প্রেসে গিয়ে মুদ্রণ কার্যক্রম পরিদর্শন ও তদারকি করছে।
সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যবই উৎসব পালন করা হবে না। তবে স্কুলে স্কুলে বই যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া হবে। ৩৬ কোটি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে অন্তত ১০ কোটি পাঠ্যবই ইতিমধ্যে ছাপিয়ে সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো শুরু হয়েছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুরুল আলম জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য বই ছেপে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সে বিষয়ে প্রতিদিনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আশা করা যায় ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
অন্যদিকে একই প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, বই ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছায় সে প্রচেষ্টা রয়েছে। আশা করা যায় এর ব্যত্যয় ঘটবে না। এনসিটিবি তা পরিচালনা করছে।
একই প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, এনসিটিবির প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ ইতোমধ্যে দেয়া শেষ হয়েছে। এখন সব বই প্রেসে রয়েছে। ছাপা শেষে বাঁধাই করে সেখান থেকে সরাসরি উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।